রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
গিবত মানবাত্মার ভয়াবহ ব্যাধি

গিবত মানবাত্মার ভয়াবহ ব্যাধি

মাওলানা মুহম্মাদ সাহেব আলী  : গিবত বা পরনিন্দা মানবাত্মার একটি ভয়াবহ ব্যাধি। যে মানুষ এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় সে তার সুবিবেচনা ও সুনীতি হারিয়ে ফেলে।
গিবত বা পরনিন্দার প্রবণতা এক মানুষের সঙ্গে অন্য মানুষের সুসম্পর্কে ভাঙন সৃষ্টি করে। ইসলামে ব্যভিচার জঘন্য অপরাধের একটি। কিন্তু গিবত বা পরনিন্দা তার চেয়েও ঘৃণ্য ও নিন্দনীয়। শরিয়তের পরিভাষায় গিবত বলা হয় কারও অনুপস্থিতিতে তার এমন কোনো দোষ অন্যের কাছে বর্ণনা করা যা শুনলে সে কষ্ট পাবে। প্রকৃতপক্ষে যদি তার মধ্যে সেই দোষ থাকে তাহলে তা হবে গিবত, আর যদি না থাকে তবে তা অপবাদ। মূলত অপবাদ গিবতের চেয়েও নিকৃষ্ট। ইসলামের দৃষ্টিতে গিবত করা ও শ্রবণ করা দুটিই সমান অপরাধ। জীবিত মানুষের গিবত করা যেমন হারাম, মৃত মানুষের গিবত করাও তেমন হারাম। গিবত জেনার চেয়েও নিকৃষ্ট ও আপন মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করার সমান।

মহান আল্লাহ আল কোরআনে গিবত থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা একে অন্যের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করো না এবং পরস্পর গিবত করো না। তোমাদের মধ্যে কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করতে পছন্দ করবে? বস্তুত, তোমরা তা ঘৃণাই কর। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। ’ (সূরা হুজুরাত : ১২)। হাদিসেও গিবত সম্পর্কে সতর্ক করেছেন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। একবার রসুলুল্লাহ (সা.) দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেন, ‘নিশ্চয়ই এ দুই কবরবাসীকে আজাব দেওয়া হচ্ছে। তবে বড় কোনো অপরাধের কারণে নয়; এদের একজন প্রস্রাব থেকে নিজেকে হেফাজত করত না। অন্যজন গিবত করে বেড়াত। ’ (বুখারি)। রসুলুল্লাহ (সা.) আরও ইরশাদ করেন, ‘গিবত জেনার চেয়েও নিকৃষ্ট। ’ (মিশকাত)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোনো বিষয়ে জুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই (দুনিয়ায় থাকতেই) তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়; ওইদিন আসার আগে যেদিন তার কোনো দিনার বা দিরহাম কাজে আসবে না। সেদিন তার কোনো নেক আমল থাকলে, সেখান থেকে জুলুমের সমপরিমাণ কর্তন করে নেওয়া হবে। আর তার কোনো নেক আমল না থাকলে মজলুমের গুনার কিছু অংশ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। ’ (বুখারি)।
গিবত বা পরনিন্দা থেকে বেঁচে থাকা খুব কঠিন কোনো কাজ নয়। এজন্য সবচেয়ে আগে দরকার নিজের জবানের হেফাজত করা। জবান যাতে শয়তানের অনুগামী না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জিবের পরিণামই মানুষকে উপুড় করে দোজখে নিক্ষেপ করবে। ’ (মিশকাত)। আল্লাহ আমাদের গিবতসহ সব ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

কালের খবর  -১০/৩/১৮

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com